তিতাসের যুবলীগ নেতা জামাল হত্যায় পিস্তল ও গুলিসহ আরও  ৩জন গ্রেপ্তার

সিটিভি নিউজ।।     নেকবর হোসেন    কুমিল্লা প্রতিনিধি  জানান ===
কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু, সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম ও মাজহারুল ইসলাম সৈকত। তাদের মধ্যে দেলোয়ার গুলি করা তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন ও সাদ্দাম তিতাস উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশীদ গার্লস কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।
বুধবার সকাল ১০টায় ও বেলা সাড়ে ১১টায় পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব ও পুলিশ।
সকাল ১০টায় র‌্যাব-১১ কুমিল্লা শাকতলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা জামালকে গুলি করা তিনজন বোরকা পরিহিত ব্যক্তির মধ্যে একজন হলেন দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। তার বিরুদ্ধে ২টি হত্যাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
কয়েকদিনের অভিযানের পর গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দেলু জানিয়েছে, সে ঋণগ্রস্ত। জামালকে হত্যা করলে তার ঋণগুলো পরিশোধ করা হবে। এ ছাড়া জামাল বেঁচে থাকলে তাদের আরও ক্ষতি হতে পারে। তাই জামালকে খুন করতে রাজি হয় সে।
এ ছাড়া গুলি করা আরও দুই শুটার আরিফ ও কালা মানিক বিদেশে পালিয়েছে। তাদের রক্ষা করাসহ দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় সাদ্দামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, জামালকে খুন করতে যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। একটি স্কুল ব্যাগের ভেতর থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল ও একটি অত্যাধুনিক রিভালবার রয়েছে। এ ছাড়া ২৪ রাউন্ড গুলি, নেকাব ও একটি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৈকত স্বীকার করেছে, ঘটনার পর অস্ত্রগুলো তার কাছে রেখে যাওয়া হয়।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সৈকতকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করা হবে। আশা করি, এ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে তিনজন ব্যক্তি বোরকা পরে এসে জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করেন। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসায়িক সূত্রে পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।সংবাদ প্রকাশঃ ১০০৫২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ