সিটিভি নিউজ।। মো:নজরুল ইসলাম,ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে এমএমএতিমখানা ও হাফেজী মাদ্রাসা সমাজসেবা অধিদপ্তরেরসরকারি বরাদ্দের টাকা সঠিক খাতে ব্যয় করছে না। সমাজসেবাঅধিদপ্তর কর্তৃক ক্যপিটেশন গ্রান্ট প্রাপ্ত এতিমের সংখ্যা১৭ জন দেখালেও তার মধ্যে ১৪ জনের মা-বাবা রয়েছে। নিন্মআয়ের পরিবারের সন্তানদেরএতিম বলে চালিয়ে দিয়ে বরাদ্দেরটাকা লোপাট করা হচ্ছে। খোদ এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মোঃমনিরুজ্জামান তার নিজের ছেলে জুবায়েরকেও এতিম মর্মেরেজিস্ট্রোশন করে সরকারি বরাদ্দের টাকা পকেটে ভরছে। তবেষড়েজমিন অনুসন্থান কালে উক্ত এতিমখানা কর্তৃপক্ষ অধিকাংশের শিক্ষার্থীর থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতি মাস নিদৃষ্ট অংকের অর্থ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, তাদের তালিকা অনুযায়ী রাজাপুর উপজেলায় সাতুরিয়া ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া এলাকার এমএম এতিমখানা ও হাফেজী মাদ্রাসায় ক্যপিটেশন গ্রান্ট প্রাপ্ত নিবাসীর সংখ্যা মোট ১৮ জন। প্রতি মাসে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এমএম এতিমখানা ও হাফেজী মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, এতিমখানার সাইনবোর্ড টাঙানো আছে কিন্তু
নিবাসীদের সংখ্যা কোথাও লেখা নাই। মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃমাসুদুর রহমান বলেন, এই এতিম খানায় ১৭ জনের মধ্যে সর্বমোট ৩ জন এতিম আছে অন্যরা সবাই গরীব হলেও তাদের পিতামাতা রয়েছে।এমএম এতিমখানা ও হাফেজী মাদ্রাসা এতিম হিসেবে দেখানো ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে অনেকের’ই বাবা বিভিন্ন মাদ্রসায় চাকুরী করেন। কারো বাবা দিন মজুর, কারো বাবা কৃষি কাজ করে। তাদের মধ্যে ১৪জনের’ই বাবা ও মা জীবিত আছেন এবং থাকা-খাওয়া বাবদ জনপ্রতি ৫শ থেকে ১৫শ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানাগেছে।
এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মো ঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আমার এতিমখানায় সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ক্যপিটেশন গ্রান্ট প্রাপ্ত নিবাসীর সংখ্যা ১৭ জন। তাদের মধ্যে ৭-৮ জন এতিম আছে। তিনি তার মাদ্রাসাকে শতভাগ স্বচ্ছ বলে গর্ব করেন।
সংবাদ প্রকাশঃ ২২-০৩-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=