ঝালকাঠিতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে ভোররাতে মা ইলিশ নিধনের  মহোৎসব ! 

সিটিভি নিউজ।।    মোঃ নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান == :: ঝালকাঠির রাজাপুরের চল্লিশ কাহনিয়া ও বাদুরতলায় প্রশাসনের চোখ এড়াতে ভোররাতে মা ইলিশ নিধনে নামে অসাধু জেলেরা। আবছা আঁধার থাকতেই আবার তীরে উঠে আসে তারা। আবার বড় বড় ইলিশ বিক্রিও করে নদীর পাড়েই। কম দামে বড় ইলিশ পেয়ে ব্যাগ-বস্তা নিয়ে হাজির হন ক্রেতারাও। এর সাথে প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিছু অস্বাদু দায়িত্বরত কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ সারারাত অভিযান চালিয়ে ভোররাতে চলে যায়। সেই সুযোগটাই ব্যবহার করে অসাধু কিছু জেলে। জেল-জরিমানা, হুঁশিয়ারি- কোনো কিছুতেই যেন ভয় পায় না তারা।
ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির এক সদস্য বলেন, আমার বাড়ি চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায়। ওখানকার জেলেরা আমাকে ডিমওয়ালা ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৪০০ টাকায় দিতে চেয়েছে। আমি তাদের কথায় সাড়া দেইনি।
এসব জেলের কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, ভোররাতে জেলেরা নদীতে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকারে নামে। সকাল সকাল আবার তীরে ওঠে। ইলিশ ধরার নৌকা মূল নদীর পাশের ছোট খালে রেখে সেখানেই জাল থেকে মাছ ছাড়িয়ে নেয়। এরপর ব্যাগ, ওষুধের বাক্স, ছোট-বড় কার্টন, সিলিং ফ্যানের বাক্সসহ বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতিতে অগ্রিম বুকিং দেয়া ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঝালকাঠির নলছিটিতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে চলছে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব। শতাধিক অসাধু জেলে প্রতিদিন প্রশাসনের চোখ এড়াতে ভোররাতে সুগন্ধা নদীর সরই, মাটিভাঙ্গা, ফেরিঘাট, নাইয়াপাড়া, খোঁজাখালী, অনুরাগ, দপদপিয়া পুরাতন ফেরিঘাট ও বিষখালী নদীর দেউরী, ভেরনবাড়িয়া, নলবুনিয়া, ভবানীপুর এলাকায় অবাধে মা ইলিশ নিধন করে। এভাবে প্রতিদিন কয়েক মণ ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সহায়তায় এসব ইলিশ বিক্রিও হচ্ছে গোপনে।
ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ২৪ ঘণ্টায় ৯টি অভিযানে ৯৫ কেজি ইলিশ ও সাড়ে ৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ ও জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

ঝালকাঠির ডিসি মো. জোহর আলী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোনো জেলেকে নদীতে ইলিশ শিকার করতেতে দেখলেই আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত শতাধিক অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। কয়েকশ কেজি মা ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।সংবাদ প্রকাশঃ  ২৮১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ