“ছেলের বিরুদ্ধে পিতার মামলা” “ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদকাসক্ত ছেলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে তার মা-বাবাকে”

সিটিভি নিউজ।।    সৌরভ মাহমুদ হারুন  ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি  ========
ভিটিবাড়ি ছেলের নামে লিখে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তার পিতা-মাতাকে
হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। মাদকাসক্ত এ
সন্তান মাদকের টাকার জন্য প্রায় সময়ই তার বাবা-মাকে মারধর ও তাদের সাথে খারাপ আচরণ
কর ে তা ব ে ল জানা যায়। কুমিল্লা ে জলার ব্রাহ্মণপাড়া উপ ে জলার মাধবপুর ইউনিয় ে নর
মকিমপুর গ্রামের আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী মিনু আক্তারকে তাদের মাদকাসক্ত সন্তান শাহীন
মাহাম্মুদ (৪০) হকিস্টিক দি ে য় পিটি ে য় ও দা দি ে য় কুপি ে য় মারাত্মকভা ে ব আহত
করেছে। এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হামলাকারীর পিতা আব্দুল খালেক
(৮০) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মকিমপুর
গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহীন মাহাম্মুদ। সে প্রায় সময়ই মাদকাসক্ত হয়ে তার
পিতামাতার সা ে থ খারাপ আচরণ কর তো। গত ১১ জানুয়ারি দুপুর ১২ টায় শাহীন তার
বাবা-মা’র ঘরে প্রবেশ করে মাদক সেবনের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করলে তার পিতা সে
টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায়, সে রাগান্বিত হয়ে ঘরে থাকা হকিস্টিক দিয়ে
এলোপাতাড়ি তার মা-বাবাকে পেটাতে থাকে। তখন শাহিনের স্ত্রী শিমুল আক্তার পাশের ঘর
থেকে দা এনে দিলে, তা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শাহিন তার মা মিনু আক্তারের মাথায় আঘাত
করে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে তার বাবা আব্দুল খালেক এগিয়ে এলে তার দু-পায়ে
হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। শাহিন ও তার স্ত্রী হুমকি দিয়ে বলে, জায়গা সম্পত্তি তাদের
নামে না লিখে দিলে তারা তাদের মা-বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। আহতদের চিৎকারে
এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন সরে যায়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার
করে কুমিল্লা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার পর সরকারি হাসপাতালে রেফার
করে। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন। আহত মিনু আক্তার এর মাথায়
১৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। বর্তমানে আব্দুল খালেক
ও তার স্ত্রী মাদকাসক্ত ছেলের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়ি আসতে পারছেন না। এ
ব্যাপারে গত ১৬ জানুয়ারি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় তার ছেলে শাহীন
মাহাম্মুদ ও তার স্ত্রী শিমুল আক্তারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ মফিজুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের
চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে অনেকবার অভিযান পরিচালনা করা
হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৬-০১-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ