চট্রগ্রামস্থ নাঙ্গলকোট আওয়ামী ফোরাম হতে গণপদত্যাগের হিড়িক

সিটিভি নিউজ।।      সংবাদদাতা , নাঙ্গলকোট: জানান === ====
চট্রগ্রামের সেন্টমার্টিন হোটেলে চট্রগ্রামস্থ নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী ফোরাম গঠনের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ১৪ জন উপদেষ্টা, ৭ জন সহ-সভাপতি, ৩ জন সহ-সম্পাদক, আইন সম্পাদক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং ১৩ সদস্যসহ অন্তত ৩৭ জন কমিটি থেকে পদত্যাগ ও কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া (বুলু) স্বাক্ষরিত পত্রে গণপদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৩ এপ্রিল চট্রগ্রামের হোটেল সেন্টমার্টিনে নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী ফোরাম গঠিত হয়। পরবর্তীতে ফেইসবুকে পোস্টের মাধ্যমে আমরা অবগত হতে পারি যে, আমরা নিম্নে স্বাক্ষরকারীদেরকে বিভিন্ন পদে পদায়িত করা হয়। এমতাবস্থায় আমাদের মতামত ও উপস্থিতিকে সম্পূর্নরূপে হেয় প্রতিপন্ন করে ও কারচুপির সহায়তায় গঠিত এই বিতর্কিত কমিটি থেকে আমরা স্বজ্ঞানে ও স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ ও কমিটি প্রত্যাখ্যান করলাম।
গণপদত্যাগ পত্রে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন, আলহাজ্ব মোঃ ফয়েজ কবির, মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বুলু, এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, মোশারফ হোসেন মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল বারী, মোঃ আবুল বশর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল খালেক, মোঃ আব্দুল খালেক, ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ নুরুল রহমান বাদশা, মোঃ নাছির উদ্দিন মজুমদার, মোঃ এনায়েত উল্লাহ, মোঃ সুরুজ মিয়া, আব্দুর রউফ মজুমদার, মোঃ সোলায়মান কবির (নেভী), আলহাজ্ব মোরশেদ আলম দিলিপ, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম, আব্দুল মান্নান রানা, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ ইকবাল হোসেন, এ্যাডভোকেট শাহরিয়ার তানিম, মোঃ আনোয়ার পলাশ, মোঃ শেখ আহম্মদ, হাসিবুল হোসেন রিপন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ কামাল, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শান্ত, আনোয়ারুল মওদুদ তারেক, এ আর কামরুল ইসলাম, ইয়াছিন খন্দকার সোহেল, মোঃ কাউছার রতন, আব্দুল মান্নান, আবুল হোসেন শিমুল, মোঃ হারেছ, গোলাম মোস্তফা ও মোঃ মাঈন উদ্দিন।পদত্যাগপত্রে তারা আরো উল্লেখ করেন, নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রায় ৩০/৩৫ হাজার লোক চট্রগ্রাম মহানগরীতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। তন্মধ্যে আওয়ামীলীগকে হৃদয়ে ধারণ করে কর্মী হিসেবে সংগঠন করে এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রয়েছে, যাদের মধ্যে ১ম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সাধারণ ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন সাধারণ পেশায় কর্মজীবি হিসেবে হাজার-হাজার লোক চট্রগ্রাম মহানগরীতে বসবাস করেন। এই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে বাদ দিয়ে এবং তাদেরকে না জানিয়ে কিছু চাঁদাবাজ, তল্পীবাহক বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এমন কয়েকজন আওয়ামী নামধারী ব্যক্তি বিগত ২৩ এপ্রিল হোটেল সেন্টমার্টিনে নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী ফোরাম নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেন।
উক্ত সংগঠনটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর স্বীকৃত কোন সংগঠনের আওতায় পড়ে না। যা ভূঁইফোড় বা চাঁদাবাজ সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই সংগঠনের সচিবের দায়িত্বে যাকে দেয়া হয়েছে তার অতীত রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ। তদুপরি চট্রগ্রামস্থ নাঙ্গলকোটবাসীর কাছে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে পরিচিত।যাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তিনি স্বজ্জন হলেও তিনি একজন জ্ঞানপাপী, মিথ্যাচারী, অসামাজিক ও অসাংগঠনিক ব্যক্তি। এই প্রেক্ষাপটে যে সকল ব্যক্তিবর্গকে না জানিয়েও তাদের মতামত না নিয়ে এ বং অবগত না করে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করায় তা স্বজ্ঞানে ও নিজ নিজ ইচ্ছায় স্ব-স্ব পদ থেকে স্বাক্ষর সমেত পদত্যাগ এবং এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।তারা আরো প্রত্যাশা করেন যে, ভূঁইফোড় বা চাঁদাবাজী সংগঠন ফোরাম এর নাম বাদ দিয়ে নাঙ্গলকোট আওয়ামীলীগ এর মুল সংগঠনের নামে চট্রগ্রামস্থ নাঙ্গলকোটবাসী সবাইকে নিয়ে গণজমায়েতের মাধ্যমে বিতর্কিতদের নেতৃত্বে ঘোষিত ফোরাম বাতিল করে একটি মূল সংগঠন আশা করেন। এ ব্যাপারে চট্রগ্রামস্থ নাঙ্গলকোটবাসীগণ মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)এফসিএ, এমপি মহোদয়ের নিকট বিষয়টির উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ