কুমিল্লা  সীমান্তে  ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আশংকা , সতর্ক প্রশাসন 

সিটিভি নিউজ।।    আসাদুল হক . কুমিল্লা   সংবাদদাতা জানান ====
কুমিল্লা জেলার অবস্থিত ভারতীয় সীমান্ত গুলো বর্তমানে অনেক ঝুঁকিতে ,তার কারণ ভারতের ভয়াবহ করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট,এখানকার  ১০৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে  ভারত সীমান্ত। যার ফলে এই জেলার মানুষের মধ্যে শঙ্কা  ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার।
নাম প্রকাশ না শর্তে অন্তত ১০ জন ব্যক্তি জানান, বৈধভাবে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে আসা-যাওয়া বন্ধ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে অবৈধভাবে আসা-যাওয়া করছেন দু-দেশের লোকজন। বিশেষ করে চোরাকারবারিদের তৎপরতা থেমে নেই।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। অবৈধভাবে আসা-যাওয়া করা মানুষদের মাধ্যমেও কুমিল্লায় ছড়াতে পারে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। তাই জেলার মানুষ শঙ্কিত প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এদিকে, কুমিল্লায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এসব বিষয়ে তৎপর রয়েছেন প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা। কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত অতিবাহিত হয়েছে। অবৈধ আসা-যাওয়া ঠেকাতে এসব এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
অপরদিকে, ভারত থেকে ফেরা ২৯২ জন বাংলাদেশিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কুমিল্লার বেশ কয়েকটি বেসরকারি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরা সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। সেখানে স্থান সংকুলানের কারণে তাদেরকে কুমিল্লায় রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ তত্ত্বাবধান তারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
পাশাপাশি প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া ভারত ফেরতদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন যেন ছড়াতে না পারে সেজন্যও কাজ করছে প্রশাসন।
এসব কারণে কুমিল্লায় এখনো করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত না হলেও এর আশাঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না কেউ-ই।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সম্প্রতি আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশ ফেরত ২৯২ জনকে কুমিল্লার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে হোটেল টোকিওতে ৪৭, জমজম হোটেলে ৫০, বাগিচাগাঁও ময়নামতি হোটেলে ১৯, আলা ফালাহতে ৩০, রেড রুফ ইনে ২৩, ভিক্টোরিতে ৩৫, গোল্ডেন ইনে ২৯, হোটেল পার্কে ২৩, ময়নামতি আলেখারচরে ৩১, মেডিকেল কোয়ারেন্টিনে ৪। এখন পর্যন্ত একজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায়। ভারত থেকে আসা প্রত্যেকেরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি। তবে এদের সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে।
এই তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবু সাঈদ বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান স্যারের সার্বিক নির্দেশনায় কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেয়াখালীসহ পাশ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, ভারত থেকে আসা কেউ এখন পর্যন্ত করোনা পজেটিভ শনাক্ত হননি। তবে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদের সার্বিক বিষয় দেখার জন্য চার জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রয়েছেন। এছাড়াও সবাইকে পুলিশি নজরদারীতেও রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। কুমিল্লায় এর সংক্রমণ ঠেকাতে জেলাজুড়ে সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। আমরা সকল বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, আমাদের জেলায় এখন পর্যন্ত করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি। কুমিল্লায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারত ফেরতদের নমুনা সংগ্রহ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে এ পর্যন্ত যত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের করোনা নেগিটিভ এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছি। এরপরও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অনেক জেলায় যেহেতু করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েছে, সেহেতু কুমিল্লা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়।
তিনি আরও জানান, রবিবার (৩০ মে) পর্যন্ত কুমিল্লায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯৬জনের। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৬০জন। মোট মারা গেছেন ৪৩৩জন। আর এখন পর্যন্ত সর্বমােট সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৪৭৩ জন।
কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরের কাস্টমস ও শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সালাউদ্দিন জানান, বিবিরবাজার স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকলেও গত প্রায় ১৪ মাস ধরে এ বন্দর দিয়ে মানুষের আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত বিপদজনক, এজন্য বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও সতর্ক রয়েছেন বলে জানান তিনি।সংবাদ প্রকাশঃ  ৩১২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ