কুমিল্লায় শিশু রাশেদ হোসেনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সহকর্মী দুই শিশুকে শিশু আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের আটকাদেশ

সিটিভি নিউজ।। তাপস সরকার   নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা।। শিশু রাশেদ হোসেনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সহকর্মী দুই শিশু মোঃ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাসেল ও মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে আরিফকে শিশু আইনের বিধানুসারে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাসেল (অদ্য রায় প্রচারের তারিখে তার বয়স ২১ বছর ১১ মাস ২০ দিন) হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং অপর আসামি মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে আরিফ ( অদ্য রায় প্রচারের তারিখে তার বয়স ১৯ বছর ০২ মাস ০৪ দিন) হলেন একই উপজেলার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন বানীপুর পশ্চিম পাড়ার মোঃ খলিলুর রহমান খলিলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ভিকটিম রাশেদ তার কর্মস্থল বিসিক শিল্প নগরী কুমিল্লাস্থ ফরিদ ফাইবার লিঃ ফ্যাক্টরীর টুস্টিং বিভাগে দীর্ঘ দিন যাবত শ্রমিক হিসেবে চাকুরী করিয়া আসিতেছিল। বিগত দেড় মাস যাবৎ জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ঢাকা চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের পাশে কমলপুর সাকিনস্থ ফরিদ গ্রুপের ফরিদ নেটস নামীয় ফ্যাক্টোরিতে নিয়মিত ডিউটি করিত। ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল বেলা ১টার সময় ভিকটিম রাশেদ ডিউটির উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে রাতে বাসায় ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করাবস্থায় পরদিন সকালে লোকমুখে জানতে পেরে সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ৩নং গলিয়ারা ইউনিয়নস্থিত ফুলতলী মধ্যমপাড়া সাকিনস্থ জৈনক ফজলুর হকের মাছ চাষের পুকুরের উত্তর পাড় সংলগ্ন পুকুরের পানিতে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ পাওয়া গিয়াছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে বাদীসহ স্বাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে যেতে রাশেদ এর গলাকাটা লাশ সনাক্ত করেন। ভিকটিম রাশেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত পূর্বক জবাই করিয়া নৃশংসভাবে হত্যা করতঃ লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পুকুরের পানিতে ফেলিয়া রাখে।
এ ব্যাপারে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন গোবিন্দপুর মৃত আঃ রশিদ এর মেয়ে ভিকটিমের বোন মোসাঃ নীপা আক্তার বাদী হয়ে ভিকটিমের দুই সহকর্মী মোঃ আরিফ হোসেন (২১) ও আসামি মোঃ রাসেল মিয়াকে আসামি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দঃ বিঃ ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশীদ পিপিএম মামলায় উল্লেখিত ঘটনার তদন্তপূর্বক রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৯ বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২২ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করিলে রাষ্ট্রপক্ষে মানীত ২০জন সাক্ষীর মধ্যে ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে উল্লেখিত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দঃ বিঃ ৩০২ ধারায় দোষী মর্মে শিশু আইন ২০১৩ এর ৩৪ (১) ধারার বিধানুসারে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের আটকাদেশ এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ে ০৩ মাসের আটকাদেশ প্রদান করেন কুমিল্লার আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন প্রত্যেক শিশুর নিরাপদ হেফাজতে থাকার সময় তার আটকাদেশের মেয়াদ হতে কর্তন হবে।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত।

সংবাদ প্রকাশঃ ২২০১২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ