কুমিল্লায় কিস্তির টাকা তুলে না দেয়ায় মামলা, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ 

সিটিভি নিউজ ।।     কুমিল্লা প্রতিনিধি === কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার  ১নং কালিরবাজার ইউনিয়নের কামাইরবাগ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শেফালী বেগম (৫৫) ও তার ছেলে এনামুল হক (২৮) উভয়ই তাদের প্রতিবেশীদের কাছে জোরপূর্বক এনজিও হতে ঋণ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন এবং তুলে না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিও দেন, পরে মামলাও করেন বলে জানান এলাকাবাসী।গত (১৩ ডিসেম্বর) শেফালী বেগমের প্রতিবেশী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী মৌসুমী (৩২) সাথে কোন এক ছোট বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে শেফালী বেগম এবং তার ছেলে এনামুল হক তার দুই মেয়ে শাকিলা (২৫)  এবং শিউলি(২২) ও তার মেয়ের জামাতা ফারুক (৩০) সহ সকলে মৌসুমির ঘরে ঢুকে মৌসুমিকে মারধর করেন এবং তার ঘর হতে স্বর্ণালংকার  ও ক্যাশ টাকা লুটে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মৌসুমী । এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় শেফালী বেগম এবং তার ছেলে এনামুল হক ১০ থেকে ১৫ বছর আগে এলাকার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়, পালিয়ে যাওয়ার প্রায় ৫  বছর পর তিনি এ বাড়িতে আসেন। পরবর্তী  কয়েক বছর তিনি সবার সাথে ভালোভাবে চলাফেরা করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী। বিগত প্রায় চার বছর ধরে তিনি তার পাড়া প্রতিবেশীদের বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তি তুলে দেওয়ার জন্য চাপ প্রদান করেছেন নানাভাবে এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিও দিয়েছেন ,পরে মামলা করেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিগত অনেকদিন যাবত অনেককে এভাবে চাপ প্রয়োগ করার পর কেউ যখন তাকে কিস্তি উঠাতে সহযোগিতা করেনি তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের পরিবারের ১/২ জন করে অনেকের নামেই আদালতে মামলা দায়ের করেন যাহা কিনা মিথ্যা মামলা বা হয়রানি মূলক মামলা বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের বক্তব্যে বলেন- ছোট বাচ্চাদের ব্যাপার নিয়ে ঝগড়াঝাটি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মৌসুমি তার সন্তানকে নিয়ে তার নিজের ঘরে চলে যায়। পরবর্তীতে শেফালী বেগম এবং তার ছেলে এনামুল ও তার দুই মেয়ে এবং মেয়ের জামাতা সহ মৌসুমির ঘরে ঢুকে মৌসুমিকে টেনে হিঁচরে বাইরে বের করে নিয়ে আসে এবং মৌসুমিকে মারধর করে। মৌসুমির পায়ে ইট দিয়ে আঘাত করে যার ফলশ্রুতিতে মৌসুমীর পায়ের গোড়ালিতে জখম হয় বলে ডাক্তারের রিপোর্টে দেখা যায়। পরবর্তীতে মৌসুমি চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এবং প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা সদর হাসপাতালে যান এবং কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।  শেফালী বেগম এবং তার ছেলে এনামুল হক অভিযোগের খবর জানতে পেরে তারা উক্ত ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এবং যারা শেফালী বেগমের দ্বারা ভুক্তভোগী ছিল তাদের সকলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা করেছেন বলে এলাকাবাসী আমাদের জানান। শেফালী বেগম এবং তার ছেলের ব্যাপারে এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন – শেফালী এবং তার ছেলে কেউই ভালো না। তারা এলাকাবাসী কারো সাথে ভালো ব্যবহার করেন না।  তারা অনেকের কাছ থেকেই এবং অনেক এনজিওর কাছ থেকে টাকা নিয়ে টাকা ফেরত দেন না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংবাদ প্রকাশঃ ২৮১২২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ