একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আজকের আড়াইহাজার

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা এ জেলার মধ্যে সবচেয়ে গ্রামাঞ্চল। এখানকার মানুষের মধ্যে এখন উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। মানুষজন এখন আর আগের মত নেই। ডাকাতের এলাকা হিসেবে পরিচিত এ উপজেলার প্রায় সকল গ্রাম। এখানকার মানুষকে খুশি রাখতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার কর্মকান্ডে খুশি স্থানীয় সকলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তার পরিচিতি ব্যাপক। তাকে দেখলেই অন্যরকম আস্থা পান গ্রামবাসীরা।
করোনাকালীন সময়ে তার সবচেয়ে বেশি সক্রিয়তায় এখানকার করোনা পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে আড়াইহাজারে আক্রান্তের সংখ্যা মার্চের পর থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এ উপজেলায় শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে সচেতনতার কিছুটা অভাব থাকার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেন সকাল থেকেই সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়েছিলেন।
শুধু সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতার অভাব নয়, মাস্ক না পড়া, দোকানগুলোতে অতিরিক্ত মূল্য রাখা, ফার্মেসীতে বাড়তি দামে ঔষধ ও জীবাণুনাশক বিক্রিসহ নানা কার্যক্রম ছিল এ উপজেলায়। আর তাই এসব নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত করেছিলেন উজ্জ্বল হোসেন।
অনেক সময় একাই বিভিন্ন বাজার, মার্কেট ও ইউনিয়নগুলোতে মানুষকে সচেতন করে আড্ডা বন্ধ করে ঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মানায় মাইকিং করে মানুষকে বুঝিয়ে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব মানতে বাধ্য করছেন তিনি। তার এ কার্যক্রমে সচেতন উপজেলাবাসী সন্তুষ্ট। তারা তাকে সমর্থন করে অসচেতনদের ব্যাপারে আরো কঠোর হতে অনুরোধ করেছেন প্রশাসনকে।
শুধু করোনাকালীন সময়ে নয়, এর আগেও বাজার মনিটিরিং, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ, ফসলী জমি রক্ষা, নদী রক্ষা, নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণসহ নানা কর্মকান্ডে তিনি ছিলেন সক্রিয়। এখন তিনি এসব ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোর। সম্প্রতি তিনি আলূর বাজার নিয়ন্ত্রণে করেছেন একাধিক অভিযান। এর মধ্যে বিক্রি নিষিদ্ধ জাটকা মাছ ধরা ঠেকাতে ও অবৈধ কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল আটক করতে মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন। তার এসব অভিযানে বন্ধ হয় মেঘনায় অবৈধভাবে জাটকা ও ইলিশ আহরণ।
এ ছাড়াও বাল্য বিয়ে বন্ধ, হোটেল রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পচা বাসি খাবার, মানহীন খাবার পরিবেশন করার বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। তার এসব নিয়মিত কর্মকান্ড ও প্রতিদিন উপজেলায় ঘুরে বেড়ানোয় তাকে এখন উপজেলার প্রায় সকলেই চেনেন। কোথাও কোন অসঙ্গতি দেখলেই তাকে দ্রুত খবর দেন স্থানীয়রা আর এতেই তিনি ছুটে আসেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তার এসব কর্মকান্ডকে উপজেলাবাসী স্বাগত জানায়।
আড়াইহাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ জানান, আমি নিজেও তার সাথে কয়েকদিন অভিযানগুলোতে ছিলাম। তিনি নিজে করোনাকে ভয় না করে মানুষকে ঘরে ফেরাতে নানাভাবে কাজ করলেও উপজেলাবাসীর মধ্যে এখনো পুরোপুরি সচেতনতা আসেনি। তবে তিনি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সকল ক্ষেত্রেই তার অভিযান খুবই দ্রুত, আর তাই উপজেলার সাধারণ মানুষ তার উপর আস্থা রাখছেন। অসঙ্গতি অনিয়ম ও অসচেতনতা দেখে যেকোন সংবাদ প্রকাশের পর তিনি সেখানে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
উজ্জ্বল হোসেন জানান, মানুষকে নিরাপদ রাখতেই আমার এই কার্যক্রম। দ্রব্যমূল্য বেশি রাখা, ঔষধ ও জীবাণুনাশক বিক্রিতে অধিক মূল্য আদায় এবং সামাজিক দূরত্ব না মানায় এসব অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হয়। নিয়মিত জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৭১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ