উত্তাল পরিস্থিতিতে গোপনে সোনারগাঁয়ে নতুন নাম ফলক পুন:স্থাপন

 মানববন্ধন। এক পর্যায়ে তার কুশপত্তলিকা দাহ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। লিয়াকত হোসেন খোকার কঠোর সমালোচনা করে তাকে হুশিয়ারী দেয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে আকষ্মিকভাবে পুন:স্থাপন করা হলো নতুন নাম ফলক।
রোববার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নাম ফলকটি পুন:স্থাপন করা হলেও অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। কিন্তু কার উদ্যোগে কে বা কারা নতুন এই নাম ফলক প্রতিস্থাপন করেছে তা জানা যায়নি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
তবে নতুন নামফলকে একটু সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ভাঙ্গা ফলকটিতে জি আর ইনস্টিটিউশন লেখাটি থাকলেও সেখানে সোনারগাঁও লিখা হয়নি। আর নতুন ফলকটিতে সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউশন এর মেইন গেইট ও সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন লেখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও জি আর ইনিস্টিটিউশনের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে দীর্ঘ সময় ধরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, এমপি খোকাপন্থীরা বলছেন, এখানে কিছু ভুল ছিল তাই কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গেছে নতুন করে লাগানোর জন্য। কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, যারা ভেঙ্গেছে তারা আন্দোলনের চাপে বেকায়দায় পড়ে তড়িঘড়ি করে নতুন করে নাম ফলকটি লাগানোর ব্যবস্থা করেছে।
নাম ফলক ভাঙ্গার ঘটনার পর পরই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, লোকাল এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ১৭ নভেম্বর দুপুরের পর জিআর ইনস্টিউটিশন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার উপস্থিতিতে ও তার নির্দেশে নাম ফলকটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এসময় এমপি খোকা আমার নাম ধরে গালমন্দও করেন।
এদিকে নাম ফলকটি ভাঙ্গার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে সোনারগাঁও পৌর আওয়ামীলীগ ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে সোনারগাঁও জি আর ইনিস্টিটিউশনের সামনে এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। এমনকি এমপি খোকার কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়। কর্মসুচিগুলোতে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে নাম ফলক ভাঙ্গার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়। এবং ভবিষ্যতের এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য হুশিয়ারী দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যায় পুন:স্থাপন করা হলো নতুন নাম ফলক।
ওদিকে নতুন নাম ফলক পুন:স্থাপনের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। নতুন করে কারা লাগিয়েছে আমি জানি না। তবে যারা ভেঙেছেন তারাই হয়তো লাগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ থেকে ওটা লাগানো হয়নি আর জিআর ইনস্টিটিউশনের কেউ লাগালেও আমি সেটা জানতাম।
প্রসঙ্গত ১৭ নভেম্বর ভেঙ্গে ফেলা নাম ফলকে লেখা ছিল ‘জি আর ইনস্টিটিউশনের মেইন গেইট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ’। গত ২৫ সেপ্টেস্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুল ফটকটি উদ্বোধন করছিলেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৪১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ