সিটিভি নিউজ।। মানিক ঘোষ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-===
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম জানিক হোসেন (৪৮)। তিনি সারুটিয়া ইউনিয়নের পুরাতন বাখরবা গ্রামের ইবাদত হোসেনের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ একাংশের নেতা জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থক। তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামীও। শৈলকুপা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, এলাকায় সামাজিক আধিপত্য ও দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ একাংশের নেতা জুলফিকার কায়সার টিপু এবং সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের কারণে শনিবার রাত ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকেরা জানিক হোসেনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দু’টোর দিকে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকান্ডের কারণে আজ (রবিবার) শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হলেও এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। রাতের হত্যাকান্ডের ফলে ভোটাররা জীবনের ভয়ে বা নতুন করে আক্রান্ত হবার ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না বলে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় জুলফিকার কায়সার টিপুর এক সমর্থক এবং মামুনের ছয় সমর্থক খুন হন।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকায় সামাজিক আধিপত্য ও দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার কায়সার টিপু এবং মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের কারণে হয়ত এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকালে এলাকায় ৭জন খুন হলে নিহত জানিক হোসেন একাধিক হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি আসেন। এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।
সংবাদ প্রকাশঃ ৩১-০৭-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=