কুসিকের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ভাংচুরের অভিযোগ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।       কুমিল্লা প্রতিনিধি  জানান –=
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৬নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহুরী বাবুলের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর    হামলা   ও অগ্নিসংযোগ করে ৪মাস ধরে ১৪টি পরিবারকে বসতবাড়িতে ফিরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  গত ৩১ মার্চে সংগঠিত হত্যাকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিলর বাবুল ও তার সন্ত্রাসীগংয়ের উদ্দেশ্য প্রনোদিত হামলায় ৪মাস ধরে বাড়ি-ঘর হারা ১৪টি পরিবার পরিত্রানের আশায়  ঘুরছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বেলা ৪টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে  কান্নাজড়িত কন্ঠে অভিযোগ করেন নির্যাতিত ১৪পরিবারের সদস্যবৃন্দ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে  আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন গত ৩১শে মার্চ ২০২০ইং তারিখে কুমিল্লার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডে সংরাইশ প্রাইমারী স্কুল এলাকায় সংগঠিত মতিন(৬৮) হত্যাকান্ডের পরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হামলা ও অগ্নিসংযোগে গৃহহারা হয়েছে ১৪টি পরিবার। ঘটনার আজ প্রায় ৪মাস পরেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারছেনা। বাড়ি ফিরতে পরিবারগুলোকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করছে মুহুরী বাবুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

আরো অভিযোগ করেন,কাউন্সিলর মুহুরী বাবুল প্রকাশ্যে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী কালা বাবুল নামে পরিচিত। কাউন্সিলর মুহুরী বাবুল দীর্ঘ বছর ধরেই পুরো ওয়ার্ডে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, অবৈধ ব্যবসা ও মাদক কারবারীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।মুহুরী বাবুলের আধিপত্য বিস্তারের জন্য লালন-পালন করে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে আর প্রাণ হারানোর ভয়ে কেউই মুখ খুলে তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চায় না।

কাউন্সিলর মুহুরী বাবুল বাহিনীর প্রধান ক্যাডার আক্তার হোসেন যার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অস্ত্র, বিষ্ফোরক আইনের মামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে সন্ত্রাস দমন আইন ও বিভিন্ন মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিলো অস্ত্র নিয়ে, সেসময় তল্লাশি চালিয়ে তার থেকে বস্তা ভর্তি অস্ত্র উদ্ধার করেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ।
হামলার সময় ঘর লুটপাট ও ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। মুহুরী বাবুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার সন্ত্রাসীদের দিয়ে সংরাইশ পূর্ব পাড়ার কুমিল্লা কেন্টনমেন্ট শাখার পোষ্ট মাষ্টার বাচ্চু মিয়া ও আরো ১৩টি পরিবারের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে মালামাল ও নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেছে এবং তাদের ১৪টি পরিবারের ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়ে দেয়, সেসময় এ আগুন এসে নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস, যা তখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
ভুক্তভোগী ১৪টি পরিবার কুমিল্লার পুলিশ প্রশাসন,জেলা প্রশাসন ও এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কাছে এর সঠিক তদন্ত ও তাদের প্রতি যে অন্যায় অবিচার করা হয়েছে তার সঠিক বিচার চায়। তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা ও সহযোগীতা চায়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন   ইদ্রিস মিয়া ড্রাইভারের মেয়ে আয়েশা বেগম,সিরাজুল হকের স্ত্রী রোকেয়া বেগম,সানজিদের ভাই শামিম,রনির পক্ষে শাকিল,রানার ভাই সুমন মিয়া,মাসুমের পক্ষে তার বাবা মনজিল মিয়া,বাবুল মিয়ার পক্ষে হাসি বেগম,এছাড়া নির্যাতিত হামলার শিকার রেশমা বেগম,নাজমা বেগম,প্রান্তরের পক্ষে আশিক,গোলাম মোস্তফা।

এ প্রসঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সৈয়দ জাকির জানান, ভুক্তভোগী পরিবার যদি অভিযোগ করে থাকে ও আইনি সহায়তা চায় তাহলে ঘর-বাড়িতে থাকার জন্য তাদেরকে পুলিশ সহযোগীতা করবে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর বাবুলের সাথে মোবাইল ফোনে  কথা বললে  বাবুল সিটিভি নিউজকে বলেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ সত্য নয়। অভিযোগ সমুহ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।  তা ছাড়া ঘটনা স্থলে এসে তদন্ত করলেই কারা হামলা করেছে কারা অপরাধী প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।    সংবাদ প্রকাশঃ  ১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email